ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এ ধরনের জাতীয় দুর্যোগে সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন ছিল। তিনি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বিভিন্ন মেয়াদি পরিকল্পনা এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বুধবার এক বিবৃতিতে কামাল হোসেন বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনগণকে আরও বেশি সচেতন করতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এ ধরনের জাতীয় দুর্যোগে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও জনগণকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই বাস্তব অবস্থা এখনো দৃশ্যমান নয়।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছিল, মে মাস থেকে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটবে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী মাসগুলোতে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে’। অথচ সরকারি তথ্যমতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৩০ হাজারের বেশি।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং মেয়রদের দায়িত্ব ছিল দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায়নি বলে জানান কামাল হোসেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মশা মারার ভেজাল ওষুধ, দুর্নীতি, ওষুধ ছিটানোর পদ্ধতিগত ত্রুটি এবং ছিটানোর জন্য মাঠকর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই।
ডেঙ্গু নিয়ে সারা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য রক্তের চাহিদা বেড়েছে। এ ছাড়া ডেঙ্গু শনাক্তকরণের কিটও চাহিদা মতো পাওয়া যায়নি। তিনি স্থায়ীভাবে দেশ থেকে ডেঙ্গু নিরসনে দ্রুত বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে গণফোরাম। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে দলের পক্ষ থেকে রাজধানীর আরামবাগ, ফকিরাপুল এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হয়। এতে অংশ নেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সভাপতি পরিষদ সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, সম্পাদক মো. আজাদ হোসেন প্রমুখ।