যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাঁসুয়ার কোপে বড় ভাই নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মকবুল হোসেন গাজী (৬০)। ছোট ভাই মফুজার রহমান গাজী (৪৫) তাঁকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মফুজার রহমান গাজী ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। এই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
নিহত মকবুল হোসেন গাজীর বাড়ি উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামে।
মকবুল গাজীর স্ত্রী কোহিনুর বেগম বলেন, ‘সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ১০ বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে মফুজার প্রায়ই তাঁর বড় ভাই মকবুলকে খুন করার হুমকি দিতেন। কয়েক দিন আগে ওই সম্পত্তি থেকে মফুজার চারটি গাছ বিক্রি করেন। এর মধ্যে আমাদের একটি রেইনট্রিগাছ ছিল। গত মঙ্গলবার গাছ কাটার খবর পেয়ে আমার স্বামী বাধা দেন। এরপর থেকে মফুজার আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আজ সকালে আমার স্বামী বাড়ির সামনে নিজের সারের দোকানে বসে ছিলেন। সকাল পৌনে নয়টার দিকে মফুজার বাড়ি থেকে হাঁসুয়ায় ধার দিয়ে দোকানে যান। সেখানে তিনি আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। চিৎকার শুনে আমি সেখানে ছুটে গিয়ে দেখি, তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। তাঁকে উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অনুপ কুমার বসু বলেন, মকবুল হোসেন গাজীর বাঁ বাহু ও বুকের বাঁ পাশে দুটি কোপের চিহ্ন আছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাই মফুজার রহমান বড় ভাই মকবুল হোসেন গাজীকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তাঁর পেটের ওপরের দিকে এবং বাঁ হাতের কবজির ওপরে কোপের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মফুজার পলাতক। তাঁকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment